জেলাব্যাপী বৈশাখ মাস আগমনের শুরুতেই মেলার নামে বৈশাখী ফাঁদ পেতে জুয়ার আসর বসাতে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে সংঘবদ্ধ জুয়াড়ি চক্র। ফলে একদিকে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যেমন বিপদগামী হচ্ছে তেমনি অন্যদিকে আইন শৃঙ্খলা অবনতিরও আশংকা করছেন সচেতন মহল। বৈশাখ আশার আগেই ঈদগাঁওতে শুরু হয়ে গেছে মেলার নামে জনবসতি ্এলাকায় রমরমা জুয়ার আসর। অভিযোগ রয়েছে সরকারী দলের রাজনৈতিক নেতা পরিচয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন এলাকায় জেলার সংঘবদ্ধ জুয়াড়ি চক্র বৈশাখীমেলা ও বলী খেলার নামে মেলাঙ্গণ সহ তৎ সংলগ্ন এলাকায় জুয়ার আসর বসাতে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যার কারণে জেলা ব্যাপী চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড বেড়ে যাওয়ার আশংকা উড়িয়ে দেয়া যায় না। বৈশাখীমেলা হচ্ছে বাঙ্গালীর একটি সার্বজনিন সবচেয়ে বড় উৎসব। এছাড়া বলী খেলা হচ্ছে বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যের বাঙ্গালী সংস্কৃতির একটি ধারক-বাহক। কিন্তু বিধি বাম। দেখা যায়, প্রতি বছরের বৈশাখ মাস ঘনিয়ে আসলেই জেলা ব্যাপী ধুম পড়ে যায় বলী খেলার নামে জুয়ার আসরের। এক শ্রেণীর জুয়াড়ী চক্র অর্থলিপ্সু কথিত লোভী প্রকৃতির নেতাদের অর্থের প্রলোভনে ফেলে উক্ত বলী খেলায় জুয়ার আসর সহ লোক কিংবা প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে লটারীর নামে ডিজিটাল জুয়ার আসর বসায়। যার কারণে একদিকে জুয়াড়িরা যেমন রাতারাতি কালো টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে সহজ-সরল গ্রামের তরুণ সমাজ অপরাধ প্রবনতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। ফলে ওই সময়ে এলাকায় চুরি ডাকাতি ছিনতাই সহ নানা অপরাধ মুলক কর্মকান্ড আশংকা জনক হারে বেড়ে যায়। বিশেষ করে এলাকার বেকার ও অপরাধী শ্রেণীর যুবকরা জুয়ার খরচ যোগাতে এসব অপরাধ কর্মকান্ড ঘটায়। অন্যদিকে জুয়াড়িরা ও উক্ত আসর নির্বিঘেœ চালাতে এলাকার বাইরে থাকা অপরাধীদের মোটা অংকের টাকার চুক্তিতে এলাকায় ফিরিয়ে এনে জুয়ার আসরের নিরাপত্তায় ব্যবহার করে। জুয়াড়িদের কালো টাকার নেশায় প্রশাসন কিংবা এলাকার জন প্রতিনিধিরা দেখেও না দেখার ভান করে থাকায় জুয়াড়িরা দ্বিগুণ উৎসাহে জেলা ব্যাপী কৌশলে জুয়ার আসর বসিয়ে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এবারও এর ব্যাতিক্রম হচ্ছে না। ঈদগাঁওয়ের চিহ্নিত জুয়াড়ি সম্রাটরা কথিত বলী খেলাকে টার্গেট করে এলাকা কিংবা বাজারের বিভিন্ন দোকান ও গোপন স্থানে স্থানীয় প্রশাসনের সোর্স নামধারী দালালদের সাথে জড়ো হয়ে সলাপরামর্শ করতে দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে তারা বেশ কটি খেলায় প্রকাশ্যে জুয়ার আসর বসিয়ে হাতিয়ে নিচেছ লাখ লাখ টাকা । বিশ্বস্ত সূত্রেজানা যায়, গত বছর ঈদগাঁওতে মেলার নামে অশ্লিলতা বন্ধে সবশ্রেণী পেশার মানুষ মানববন্ধন করেছিল। তাই এইঘৃণ্য আসর বসানোর সুযোগ না দিতে প্রশাসন সহ সংশিষ্ট মেলা কর্তৃপক্ষের সূ-দৃষ্টি কামনা করেছেন সচেতন সমাজ।
পাঠকের মতামত: